আর ভিক্ষা করতে হবে না জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মেকআপম্যান হারুনকে
‘বেদের মেয়ে জোসনা’র মতো ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে কাজী হারুন মেকআপম্যান হিসেবে কাজ করেছেন, কুড়িয়েছেন প্রশংসা। ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হৃদয় থেকে হৃদয়’ ছবিতে কাজের জন্য তিনি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। কিন্তু দিন যাপন করছিলেন ভিক্ষাবৃত্তি করে। তবে এখন আর ভিক্ষা করতে হবে না জানিয়ে এনটিভি অনলাইনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
‘ভিক্ষা করছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মেকআপম্যান’ শিরোনামের নিউজটি এনটিভি অনলাইনে প্রকাশ করা হয় গত বছরের ১৪ অক্টোবর। এর পর গণমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। বিষয়টি নিয়ে শিল্পী ঐক্যজোট তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন করে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গণভবনে কাজী হারুনের হাতে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
কাজী হারুন থাকেন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর ফরিদাবাদ বস্তিতে। সঙ্গে থাকেন স্ত্রী মহুয়া আকতার। তিনটি বাড়িতে কাজ করে ঘর ভাড়া দেন স্ত্রী মহুয়া, আর ভিক্ষা করে জীবনধারণের খরচ চালিয়েছেন হারুন।
এ বিষয়ে স্ত্রী মহুয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। এখন আর আমার মানুষের বাড়িতে কাজ করতে হবে না। উনারও ভিক্ষা করতে হবে না। এনটিভিকে অনেক ধন্যবাদ, তারা আমাদের নিয়ে খবর প্রচার না করলে হয়তো ভিক্ষা করেই জীবনটা পার করতে হতো।’
কাজী হারুন ছাড়াও অনুদান পেয়েছেন গায়িকা পলি সায়ন্তনী, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত আরেক মেকআপ আর্টিস্ট আবদুর রহমান এবং অভিনেতা মহিউদ্দিন বাহার। প্রত্যেককেই পাঁচ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
চার শিল্পীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শিল্পী ঐক্যজোটের সভাপতি ডি এ তায়েব।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জি এম সৈকত বলেন, ‘যে শিল্পীরা সাহায্য পাওয়ার যোগ্য, আমরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলাম। আমাদের সৌভাগ্য, একজন মমতাময়ী, সংস্কৃতি ও শিল্পীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। মানুষ ও মানবতার মূল্য তাঁর কাছে সবার আগে।’