‘সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীরা রাস্তায় আড্ডা দিতে পারবে না’
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কিশোর গ্যাং, মাদক ও ইভটিজিং, চুরি, ছিনতাই ঠেকাতে সন্ধ্যা নামলেও রাস্তা কিংবা হাটবাজারে শিক্ষার্থীদের আড্ডা দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিউল কবীর।
এনটিভি অনলাইনকে ওসি বলেন, ‘উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে উঠান বৈঠক করে উপস্থিত লোকজনের সামনে এসব কথা অভিভাবকদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। এরই অংশ হিসেবে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর কেওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেওচিয়া মাইজপাড়া উঠান বৈঠক করেছি। এতে আমি ছাড়াও পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ও সেকেন্ড অফিসার মাসুদ রানাসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে ওসি বলেন, ‘আপনি মনে করেন, আপনার ছেলে প্রতিদিন লেখাপড়া করতে স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসায় যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল যে আপনার ছেলেটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না গিয়ে রাস্তায় আড্ডা দিচ্ছে, মেয়েদের ইভটিজিং করছে। খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মিশে মাদক সেবন করছে। তাই এসব আপনাকে তদারকি করতে হবে। আর যদি তা না করেন, তাহলে দেখবেন একদিন কোনো না কোনো অভিযোগে আপনার ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বা পুলিশ ধরার জন্য খুজঁছে। তাই সময় থাকতে সচেতন হতে হবে।’
‘সম্প্রতি আমরা কেরানীহাটে অভিযান চালিয়ে দুই ডাকাতকে অস্ত্রসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছি। এরপর তাদের অভিভাবকরা থানায় গিয়ে তাদের ছেলে নির্দোষ বলে দাবি করছেন। তাহলে বুঝতে হবে, ছেলের খোঁজ ঠিকভাবে রাখেননি এই অভিভাবক। রাখলে তো তার সন্তান যে ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত, সেটি জানারই কথা।’
ওসি আরো বলেন, ‘আমরা দেখছি প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই উপজেলার হাটবাজারগুলোর বিপণিবিতানের গেট ও গলিতে দলে দলে ইভটিজিং করে, আর সুযোগ পেলেই ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিশোর গ্যাং, মাদক, ইভটিজিং, ছিনতাই ঠেকাতে সন্ধ্যার পর কোনো কিশোর-কিশোরীকে বাড়ির বাইরে আড্ডা দিতে দেখলে থানায় ধরে নিয়ে আসব। এ জন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে কাজ করছে পুলিশ।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাতকানিয়ায় কিছু লোকজন মাদক সেবন ও বিক্রয় কাজে জড়িত আছে। আমরা তাদের বিষয়ে তথ্য নিচ্ছি। প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’