কারাগার বন্দিশালা নয়, সংশোধনাগার : কারা মহাপরিদর্শক
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাগারকে বন্দীশালা না দেখে, সংশোধনাগার হিসেবে দেখতে চান। কারাগার অভ্যন্তরে পোশাক কারখানা,জামদানি তৈরির তাঁতসহ কারিগরি বিষয়ে একাধিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র রয়েছে।’
কারা মাহাপরিদর্শক বলেন, ‘কারাগারে দীর্ঘদিনের একটা রুটিন ছিল সকালের নাস্তায় রুটি ও চৌদ্দগ্রাম গুড়। এটি পরিবর্তন করে খিচুরি, সবজি রুটি ও হালুয়া রুটিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বন্দীরা এতে খুবই আনন্দিত ও উৎফুল্ল। এছাড়া উন্নতমানের খাবার জন্য আগে ৩০ টাকা করে দেওয়া হতো, এখন ১৫০ টাকা দেওয়া হয়। পাঁচগুণ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া কারাগারের ভেতর যাঁরা ঝাড়ুদারের কাজ করতেন তাঁরা আগে পেতেন ৫০ টাকা, এখন পান ৫০০ টাকা।’
আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কারাগার পরিদর্শন করে কারা মহাপরিদর্শক একথা জানান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কারা ডিআইজি টিপু সুলতান, নারায়ণগঞ্জ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ কুমার ঘোষসহ অন্যরা।
দুপুর সোয়া ১২টায় মহাপরিদর্শক নারায়ণগঞ্জ কারা চত্বরে প্রবেশ করলে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। তার পর কারা অভ্যন্তরে একে একে উদ্বোধন করেন ডে কেয়ার সেন্টার, নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা দুটি পারলার প্রশিক্ষণকেন্দ্র।
এর পর পোশাক ও জামদানি কারখানা পরিদর্শন করে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে কারা মহাপরিদর্শক মোস্তফা কামাল জানান,কারাগারে উৎপাদিত পণ্যের লভাংশের ৫০ ভাগ কারিগরকে দেওয়া হয়। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আর কারাগারে যাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, বন্দীজীবন শেষে বের হয়ে নতুন করে কর্মজীবন শুরু করতে পারবে।