সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলা চলতে বাধা নেই
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এই আদেশের ফলে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শিমুল হত্যা মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়ে শুনানির জন্য ১৪ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করে আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল আলিম জুয়েল।
গত ২৯ আগস্ট সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শিমুল হত্যা মামলা রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তর কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ২৮ ডিসেম্বর শিমুল হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সিরাজগঞ্জ আদালত থেকে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তর করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন হাবিবুল হক মিন্টুসহ আসামিরা। বর্তমানে শিমুল হত্যা মামলা রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে অভিযোগ গঠন পর্যায়ে রয়েছে।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয় মাহমুদকে অপহরণের পর মেয়র মিরুর বাড়িতে আটকে রাখা হয়। মেয়রের সহোদরের হাতে বিজয়কে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরদিন মারা যান শিমুল।
এ ঘটনায় মিরু ও তাঁর সহোদর মিন্টুসহ ৪০ জনকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় মামলা করেন শিমুলের স্ত্রী। মামলা দায়েরের তিন মাস পর ২০১৭ সালের ২ মে শাহজাদপুর আমলি আদালতে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি এই মামলার বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য শাহজাদপুর আমলি আদালত থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর হয়। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।