বিএনপির উচিত সরকারকে অভিনন্দন জানানো : তথ্যমন্ত্রী
সম্প্রতি বিভিন্ন ক্যাসিনোতে র্যাবের অভিযানের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। এর অংশ হিসেবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অভিযান শুরু হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের উচিত সরকারকে অভিনন্দন জানানো। কিন্তু তারা তা না করে সমালোচনা করছে।’
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে প্রবীণ সিটিজেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন, তাঁকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রথমত বেগম খালেদা জিয়ার যে আর্থাইটিসের সমস্যা, হাতে-পায়ে ব্যথা, এটি তাঁর বহু পুরোনো শারীরিক সমস্যা। এই শারীরিক সমস্যা নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া দুইবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। দুইবার বিরোধী দলের নেতার দায়িত্ব পালন করছেন। বিএনপির মতো দলে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করছেন। সুতরাং এ সমস্যা সময়ে সময়ে একটু বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার যে চেষ্টা এটি আমরা সবসময় দেখেছি, বিএনপি নেতাদের মধ্যেও দেখেছি। গতকাল তাঁর পরিবার দেখা করে বিএনপি নেতারা যে কথাগুলো বলেন, সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করেছে।’
‘দি সিনিয়র সিটিজেন্স সোসাইটি’ চট্টগ্রাম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংগঠনের সভাপতি এম এ মালেক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রকৌশলী সংবর্ধিত অতিথি প্রকৌশলী এ এ এম জিয়া হোসাইন, শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া, শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফি ও আইনজীবী মাহাবুব উদ্দিন আহমদ বক্তব্য দেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে যাতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যায় সেজন্য তাঁকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তিনি যখন কারাগারে ছিলেন অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে আনার আগে তাঁর জন্য সার্বক্ষণিক এমনকি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালেও তাঁর পছন্দনীয় আয়া তাঁর সঙ্গে আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা কখনো ঘটেনি। পাকিস্তান আমলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। ভারতে ঘটেছে কি না, আমার জানা নেই।’
এ সময় খালেদা জিয়ার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যাপারে বলেন, ‘তাঁর জন্য কারাগারে থাকাকালীন সার্বক্ষণিক একজন ফিজিওথেরাপিস্ট ও একজন ডাক্তার নিয়োজিত ছিলেন। এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসালয়। বাংলাদেশের সব প্রথিতযশা ডাক্তার এই হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত। সেখানে তিনি (খালেদা জিয়া) আছেন। তিনি যাতে সুস্থ থাকেন সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান সরকার এ ব্যাপারে যত্নবান আছে।’