পাবনায় বাউলকে অপহরণ, টাকা দিয়েও মুক্তি মেলেনি
পাবনার চাটমোহর উপজেলা থেকে সুভাষ রোজারিও (৪০) নামের এক খ্রিস্টান বাউল শিল্পী অপহরণের স্বীকার হয়েছেন। পরিবারের দাবি, তাঁকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছে। এ ব্যাপারে চাটমোহর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে তাঁর পরিবার।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল চামটা গ্রামের বোর্নী সম্প্রদায়ভুক্ত লুকাস রোজারিওর ছেলে সুভাষ রোজারিও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একজন বাউল শিল্পী। অনেকে তাঁকে খ্যাপা বাউল বলেও ডাকেন।
নিখোঁজ হওয়া সুভাষ রোজারিওর ভাই লুইস রোজারিও জানান, গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নাটোর জেলার জোনাইলের নিজ বাড়ি থেকে গাজীপুর যাওয়ার উদ্দেশে চাটমোহর রেলস্টেশনে আসেন সুভাষ। একদিন পর একটি অপরিচিত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ফোন করে জানানো হয় সুভাষকে অপহরণ করা হয়েছে। তাঁর মুক্তির জন্য ৯০ হাজার টাকা দিতে হবে। আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাঁদের টাকা পাঠিয়েছি। কিন্তু চার দিন পরও আমার ভাইয়ের কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। ওই মোবাইল ফোন নম্বরগুলোও বন্ধ রয়েছে।
লুইস রোজারিও আরো জানান, সুভাষ বাউল শিল্পী হওয়ায় দেশের আনাচে-কানাচে গান গাওয়ার জন্য ঘুরে বেড়ান। হয়তো কোনো সন্ত্রাসী দল তাঁকে অপহরণ করেছে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসীর উদ্দিন জানান, বাউলশিল্পী সুভাষের নিখোঁজের ব্যাপারে ভুক্তভোগীর পরিবার চাটমোহর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। আমরা বিভিন্ন থানায় তাঁর ছবিসহ বার্তা পাঠিয়েছি। এ ছাড়া প্রযুক্তির সাহায্যেও সুভাষের অবস্থান শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।
সুভাষ রোজারিও একজন প্রাক্তন সেমিনারিয়ান। তিনি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথম বাউল জীবন গ্রহণকারী ব্যক্তি বলেও দাবি করেন তাঁর ভাই লুইস। ধর্মীয় ও মঞ্চ পরিবেশনার পাশাপাশি টেলিভিশন অনুষ্ঠানেও নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করে থাকেন সুভাষ রোজারিও।