দুদকের সাবেক ডিডিকে আটকের দাবিতে বেনাপোলে মানববন্ধন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপপরিচালক (ডিডি) আহসান আলীকে আটকের দাবিতে যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে বন্দর ব্যবহারকারী সাত সংগঠন মানববন্ধন করেছে। আজ রোববার অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কাস্টমস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
মানববন্ধনে আরো অংশ নেয় বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতি, বন্দর হ্যান্ডিলিং শ্রমিক ইউনিয়ন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস কর্মচারী ইউনিয়ন, ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়ন, ঝিকরগাছা-বেনাপোল ট্রাক মালিক সমিতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমিতি।
মানববন্ধন চলাকালে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বন্ধ ছিল আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
মানববন্ধন শেষে নেতারা বলেন, আহসান আলীর অর্থ বিনিয়োগে রিতু ইন্টারন্যাশনাল ও জেডএইচ করপোরেশনের নামে আমদানি করা ৩১টি পণ্য চালানের বিপরীতে দুই কোটি দুই লাখ ৭০৮ টাকার রাজস্ব ফাঁকির তদবিরে ব্যর্থ হন। এরপর বেনামে দুদুক ও রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে বেনাপোলের কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন এবং তা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সরবরাহ করেন।
কমিশনারসহ এ দপ্তরের অন্য কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি, এসএমএস ও সশরীরে এসে চাপ সৃষ্টি করেন। ফলে কাস্টমস হাউসের কমিশনার শুল্কায়ন কাজে মনোনিবেশ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি কমে গিয়ে বড় ধরনের ধস নেমেছে রাজস্ব আদায়ে।
এ ছাড়া বেনাপোল কাস্টমস হাউসে আটক করা আড়াই মেট্রিক টন ভায়াগ্রার চালান ছেড়ে দেওয়ার জন্য আহসান আলীর নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র কমিশনারকে চাপ দিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে তাঁরা বেনাপোল কাস্টম হাউসের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে।
মানববন্ধনে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আহসান আলীকে আটক করা না হলে বড় ধরনের কর্মসূচি দিয়ে বন্দর অচল করে দেওয়ার হুঁমকি দেন বক্তারা।
এর আগে গত বুধবার সকালে বেনাপোল পোর্ট থানায় আহসান আলীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।