প্রধানমন্ত্রী ভারত গেছেন, আশা করি সুখবর নিয়ে ফিরবেন : ফখরুল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা ও অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতের সুখবর নিয়ে ভারত থেকে ফিরবেন বলে বৃহস্পতিবার আশা প্রকাশ করেছে বিএনপি।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়েছেন। জনগণ আশা করে তিনি এবার সুখবর নিয়ে দেশে ফিরবেন যে, আমরা তিস্তা ও অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাব। আমরা আরো আশা করি যে সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে।’
সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এক প্রতিবেদনে জানায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলন এবং ভারতের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে নয়াদিল্লি গেছেন। চার দিনের এ সরকারি সফরে তিনি ৫ অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যেহেতু সরকার দাবি করে যে ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে তাই প্রধানমন্ত্রী যখনই প্রতিবেশী দেশটিতে গিয়েছেন মানুষ আশা করেছে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।
‘কিন্তু আমরা প্রতিবার হতাশ হই। কারণ, প্রধানমন্ত্রী মূল সমস্যাগুলো সমাধান না করে সবকিছু উজাড় করে দিয়ে দেশে ফিরে আসেন,’ মন্তব্য করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বাংলাদেশিদের হত্যা এখনো বন্ধ হয়নি। ‘তিস্তার পানিবণ্টন বিষয়ক সমস্যারও সমাধান হয়নি। বরং, ফারাক্কার সব গেট খুলে দেওয়ায় এখন আমরা বন্যার মুখে আছি।’
বিএনপির এ নেতা ভারতের সাথে অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধান এবং বিপুল বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা কমিয়ে আনতে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ভারতের আসামে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) থেকে বাদ পড়াদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া নিয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফখরুল।
‘আমরা মনে করি না আমাদের কোনো নাগরিক (স্থায়ীভাবে) ভারতে গেছেন। কিন্তু আমরা উদ্বিগ্ন হই যখন ভারতীয় মন্ত্রীরা লোকজনকে সীমান্তে ঠেলে দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আসামের মানুষদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন। ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমরা এরই মধ্যে সমস্যায় আছি। সরকার এটি সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে।’