ক্যাসিনো সম্রাটদের টমেটো চাষের পরামর্শ কৃষিমন্ত্রীর
ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের টমেটো চাষ করে অর্থ ও সম্মান অর্জনের পরামর্শ দিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘সেইসব দুর্নীতিবাজ ও ক্যাসিনো সম্রাটরা সাতক্ষীরার টমেটোর ক্ষেতে এসে চাষ শিখে আরো বেশি অর্থ ও সম্মান লাভ করতে পারেন।’
আজ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ উপলক্ষে মাঠ দিবস কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি।
দেশে বর্তমানে আলোচিত কৃষিপণ্য পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘পেঁয়াজ সংকট সাময়িক। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে এ সংকটের নিরসন হবে। এবার কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য দেওয়া সম্ভব হয়নি নানা কারণে। তবে আগামী বছর বেশি দামে ধান কেনা হবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সাতক্ষীরার লবণাক্ত জমিতে হাইব্রিড জাতের লাভজনক টমেটোর ফলন চোখে পড়ার মতো। এর চাষ বাড়িয়ে দিতে আরো কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। ভারত থেকে নিম্নমানের টমেটো আসছে। কৃষকরা এই টমেটো আমদানি নিরুৎসাহিত করার দাবি জানিয়েছেন। দেশে হাইব্রিড জাতের পুষ্টিসমৃদ্ধ টমেটো চাষ বাড়ানো গেলে তা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।’
আবার তিনি দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘দুর্নীতি ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা আছে দুর্নীতিবিরোধী সমাজ গড়ে তোলার কথা।’
কৃষিমন্ত্রী অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিএনপি একটি বড় দল। এই দলের চেয়ারপারসন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনিও আইনের উর্ধ্বে নন। তাঁর মুক্তির বিষয়টি মানবিক ও একইসঙ্গে আইনগত। এ প্রসঙ্গে আদালতের দেওয়া রায় সরকার বাস্তবায়ন করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগে নানা সুযোগে বিশেষ করে কারো না কারো হাত ধরে অনেক বেকার লোক ঢুকে পড়েছে। তবে যথেষ্ট যাচাই বাছাই ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আগামীতে দলীয় সংগঠনগুলি গড়ে তোলা হবে।’
মন্ত্রী পরে মাঠ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন। নগরঘাটা কবি নজরুল বিদ্যাপীঠ ময়দানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. নাসিরউজ্জামান।
এতে আরো বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম , কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ, কৃষি গবেষণা কর্মকর্তা মো. আক্কাস আলী প্রমুখ।