‘শুদ্ধি অভিযানে দেশবাসী চমৎকৃত হবে’
চলমান দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযানে দেশবাসী চমৎকৃত হবে, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী এবং এর সুফল দীর্ঘমেয়াদি হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।
আজ শুক্রবার সকালে বনানী পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। র্যাবের ডিজি বলেন, ‘চলমান অভিযান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই পরিচালনা করছে র্যাব।’
র্যাবের ডিজি বলেন, ‘এ পর্যন্ত র্যাব ফোর্সেস যা করেছে, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এটার সুদূরপ্রসারী প্রভাব এ দেশের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হবে।’ তিনি বলেন, ‘দেশবাসী চমৎকৃত হবে এবং এর সুফল প্রজন্মের পর প্রজন্ম ভোগ করবে।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের জন্য র্যাবের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পূজামণ্ডপে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমাদের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করা হবে। সারা দেশের র্যাবের কমান্ডিং অফিসার ও ক্যাম্প অফিসারদের সঙ্গে পূজা কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উঠে আসা বিষয়গুলো অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'
চলমান অভিযান নিয়ে র্যাবের ডিজি বলেন, ‘দেশজুড়ে চলমান শুদ্ধি অভিযান সামগ্রিক অর্থে অনেক বড় বিষয়। এখানে সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি জড়িত। এ ক্ষেত্রে র্যাব ফোর্সেস লিড এজেন্সি নয়। চলমান অভিযানে আমরা সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের নির্দেশে যখন যেখানে প্রয়োজন হবে, তখনই অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করব আমরা।'
চলমান অভিযানে যারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে, তাদের কোনো তালিকা করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টি অনেক বড় বিষয়। এর সঙ্গে শুধু র্যাব ফোর্সেস জড়িত না। এজেন্সিগুলো থেকে নির্দিষ্ট তথ্য পেলে বাকিদেরও আইনের আওতায় নেওয়া হবে।’
সম্রাটের অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি স্পেসিফিক কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না। আমরা ধৈর্য ধরি, সমস্ত কিছুর উত্তর পাব। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিবিরোধী যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এটা সুদূরপ্রসারী। এর প্রভাব দেশের মানুষ পাবেন, সার্বিক উন্নয়নে এর প্রভাব পড়বে। এর সুফল প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম দেশের মানুষ পাবেন। সেটার জন্য আমরা অপেক্ষা করি, অধৈর্য হওয়ার কোনো কারণ নেই।’