মধুমতি নদীর ভাঙনে ৩৪৮ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি
ফরিদপুরের মধুমতি নদীতে গত কয়েকদিনে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১০টি গ্রামে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আলফাডাঙা উপজেলার পাচুরিয়া, চাদলা, দক্ষিণ পাচুরিয়া, উত্তর চর নারানদিয়া, বাজরা ও গুচ্ছগ্রাম।
এসব এলাকার মধ্যে পাচুরিয়া ইউনিয়নের স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, ভূমি অফিস ও মন্দিরসহ ১৬ প্রতিষ্ঠান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা, ৫০টি ঘর-বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নিচে এখন বসবাস করছে।
পাচুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা বলেন, ‘নদীতে আমার দুটি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমাদের থাকার কোনো জায়গা নেই। কোথায় থাকব, কী করব, বুঝতে পারছি না। নদীর পাড়ে সারা রাত জেগে বসে থাকতে হয়। এই মুহূর্তে যদি নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে এই গ্রাম একেবারে বিলীন হয়ে যাবে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ভাঙন কবলিত মানুষের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে ত্রাণ দেওয়াসহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাদের বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে তাদের নতুন করে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
এদিকে, পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এর মধ্যে ওই তিন উপজেলাসহ জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪৮ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মাসকলাই ১৮১ হেক্টর, বোনা আমন ৭৫ হেক্টর, রোপা আমন ৪৫ হেক্টর এবং ৪৭ হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।