মোহাম্মদপুরে পুলিশের ওপর হামলা, সাতজন আটক
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সাত বিহারিকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার জেনেভা ক্যাম্প থেকে তাদের আটক করা হয় বলে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান জানিয়েছেন।
আনিসুর রহমান বলেন, সকাল থেকে কয়েক দফা পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় ক্যাম্পের ভেতরে তল্লাশি করে সাত বিহারি যুবককে আটক করা হয়েছে।
ডিসি বলেন, সংঘর্ষ চলার সময় বিক্ষোভকারীরা তাজমহল রোডে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। সে সময় তারা পুলিশের ওপর হামলাও চালায়।
এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে জেনেভা ক্যাম্পে বসবাসকারী বিহারিরা বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। সে সময় তারা ক্যাম্পের আশপাশের সড়কে অবস্থান নেয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা ঠিক মতো বিদ্যুৎ পায় না অনেক দিন। তারা শুধু বিদ্যুৎ চায়।
বিক্ষোভের সময় স্থানীয় ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর দুপুর ১টা নাগাদ সড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের তুলে দিতে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। পাশাপাশি কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
ক্যাম্পের বাইরে জেনেভা ক্যাম্পের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর সঙ্গে এনটিভি অনলাইনের কথা হয়। সে সময় তিনি বলেন, তারা এক মাসের বেশি সময় ধরে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। কিন্তু তারা নিয়মিত বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। প্রতিদিনের মতো আজ দুপুর ১২টায় বিদ্যুৎ চলে গেলে ক্যাম্পের অধিবাসীরা রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। সে সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে এবং লাঠিপেটা করলে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
জানা গেছে, জাতিসংঘের জেনেভা কনভেনশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জেনেভা ক্যাম্পের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছিল। কিন্তু গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে সেই বিল পরিশোধ করা হয়নি। চলতি বছর জুলাই পর্যন্ত ২৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে যায়।