এবার অস্ত্র মামলায় জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষী রিমান্ডে
রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষীকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে তাঁদের একই থানায় দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রিমান্ডে পাঠানো সাতজন হলেন দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
রাকিবুল জানান, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানি লন্ডারিং মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে গুলশান থানা পুলিশ। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব ১-এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।
রাকিবুল আরো জানান, এর আগে গত ১ অক্টোবর মানি লন্ডারিং মামলায় এই আসামিদের চার দিন করে রিমান্ডে পাঠানো হয়।
রিমান্ড আবেদন থেকে জানা যায়, এ আসামিদের ১০টি কার্তুজসহ গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা তাদের নিজ নামীয় লাইসেন্সকৃত অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে স্বনামে-বেনামে বিপুল অবৈধ অর্থ বৈভবের মালিক হন। আসামিরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অজুহাতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও মূলত তাঁরা প্রদত্ত অস্ত্রের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্র বহন এবং প্রদর্শন করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের অনুমোদন ছাড়া অস্ত্রগুলো কোথায় কোথায় ব্যবহার করে অবৈধ সুবিধা, অর্থ, টেন্ডারবাজি করেছেন তার তথ্য জানা, সরকারি অনুমতি ব্যতীত কী কী উদ্দেশ্যে এতগুলো অস্ত্র নিয়ে জনসম্মুখে প্রদর্শন করে ঘুরে বেড়াতেন, জব্দকৃত অস্ত্রগুলো ছাড়া তাদের কাছে আর কোনো অস্ত্র আছে কি না, সরকারি লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে এ মামলার প্রধান আসামি জি কে শামীমের আরো কে কে তাঁর দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেন এবং তাদের কী কী অস্ত্র আছে— এসব কারণসমূহের রহস্য উদঘাটনের রিমান্ড প্রয়োজন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁদের সিএমএম আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী। ওই দিনই আজ রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর অবৈধ অস্ত্র ও মাদক মামলায় যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় পাঁচ দিন ও মাদক মামলায় পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।