কুষ্টিয়ায় এখনো পানিবন্দি ১৬ হাজার পরিবার
ফারাক্কার বিরুপ প্রভাবে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছিল কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীর পানি। বর্তমানে পানি কমে বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু এখনো কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া সদর, খোকসা ও কুমারখালি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলায় বন্যাকবলিত ৬০ গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার পরিবার এখনো পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এদিকে শিলাইদহ কুঠিবাড়ী রক্ষাবাঁধসহ কোমরকান্দি গ্রামের ভাঙন অব্যাহত আছে। এর ফলে ফসলহানি ও বসতবাড়িসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের মুখে। এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে ভারত সীমান্তবর্তী দৌলতপুরের চারটি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। পানি ঢুকে পড়ায় ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির অর্থকরী বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। পদ্মা নদীর তীরে ব্লক ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গত এলাকায় সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার পাশাপাশি বর্ন্যাতদের মধ্যে চাল, ডাল ও তেলসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।