উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে আলাউদ্দীন আলী
বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী। তিনি মরণব্যাধি ক্যানসারে ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রোববার থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়েছে তাকে। এখন তিনি ব্যাংককের স্যামিটিভেজ সুকুমভিত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আলাউদ্দীন আলীর মেয়ে সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দীন।
আলাউদ্দীন আলীর সঙ্গে আছেন স্ত্রী ফারজানা মিমি ও ছোট মেয়ে আদ্রিতা আলাউদ্দীন। সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দীন বলেন, ‘আব্বু এখন ব্যাঙ্ককে। প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর সেখানে চিকিৎসকরা আব্বুর চিকিৎসার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আব্বুর জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
গত ১৭ সেপ্টেম্বর চিকিৎসকরা জানান, আলাউদ্দীন আলীর ফুসফুসে টিউমারের অস্তিত্ব রয়েছে। তার যকৃতেও টিউমার পাওয়া গেছে। এজন্য তার শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হচ্ছে।
গত ২২ জানুয়ারি রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আলাউদ্দীন আলী। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। লাইফ সাপোর্টেও ছিলেন তিনি। গত ৮ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। এরপর মিরপুরে সিআরপিতে ফিজিওথেরাপি নেন। এর আগে ২০১৫ সালের ৩ জুলাই আলাউদ্দীন আলীকে ব্যাঙ্কক নেওয়া হয়। সেখানের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জানান, তার ফুসফুসে টিউমার আছে। টিউমারটি হৃদযন্ত্রের কাছাকাছি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রোপচার করেননি। পরবর্তী সময়ে রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
আলাউদ্দীন আলীর সংগীতে প্রথম হাতেখড়ি ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে। পরে ১৯৬৮ সালে যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে পা রাখেন তিনি। শুরুটা শহীদ আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে, পরে প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেন।