স্বর্ণ চুরির মামলায় আ.লীগ নেতাসহ পাঁচজন কারাগারে
ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মালিক মো. শহীদুল্লাহকে স্বর্ণচুরির মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলী আদালতে আসামিদের হাজির করা হলে তাকেসহ অপর চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন গ্রেপ্তারকৃত শহীদুল্লার মালিকানাধীন আরিফ জুয়েলার্সের কর্মচারী মতিন (৩৫), ত্রিশালের আশরাফুল জুয়েলার্সের মালিক আবুল কালাম (৪৫), নগরীর মৌচাক জুয়েলার্সের মালিক অনিল চন্দ্র পাল (৪০) ও দিঘারকান্দা এলাকার হৃদয় (২৫)।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর দিঘারকান্দা এলাকার মোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে একদল চোর হানা দেয়। চোরেরা প্রায় ১৮ ভরি স্বর্ণের অলংকার চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গৃহকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে ৮ সেপ্টেম্বর থানায় মামলা করেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বর্ণ চুরির মামলায় শহরের মাসকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন হৃদয় নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। হৃদয়কে জিজ্ঞাসাবাদে চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। হৃদয়ের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ত্রিশালে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় আবুল কালামকে। পরে আবুল কালামের দেয়া তথ্যমতে তাঁর দোকান থেকে প্রায় এক ভরি চোরাই স্বর্ণের অলংকার উদ্ধার করে পুলিশ। আবুল কালামের কাছে মালিক মো. শহীদুল্লাহর দোকানে চোরাই সাড়ে চার ভরি স্বর্ণ বিক্রির তথ্য পেয়ে তাঁকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি আরো জানান, তিনজন স্বর্ণ চুরির দায় স্বীকার করেছেন। আরিফ জুয়েলার্সের সত্ত্বাধিকারী মালিক মো. শহীদুল্লাহ ও মৌচাক জুয়েলার্সের মালিক অনিল চন্দ্র পালকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।