‘ভারতের বিপক্ষে কিছু বললেই সরকার তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতের বিপক্ষে কিছু বললেই বর্তমান সরকার তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে। আজ বুধবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আপনারা খেয়াল করে দেখবেন, আওয়ামী লীগ কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেদের সমালোচনা কিছুটা সহ্য করতে পারলেও ভারত নিয়ে কোনো সমালোচনা হলেই তাঁরা সেটা সহ্য করতে পারেন না। ন্যায্য হিস্যার কথা বললেও আওয়ামী লীগ সরকার তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনা পাওয়ার কোনো অধিকার নেই, ন্যায্য হিস্যার দাবি তোলাটাও যেন ভয়ঙ্কর অপরাধ। সুতরাং আবরার ফাহাদ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর কাছে অপরাধী, কারণ সে বাংলাদেশের প্রতি তাদের (বর্তমান সরকারের) বন্ধু রাষ্ট্রের আচরণের সত্য ইতিহাস তুলে ধরেছিল। এজন্য তাকে জীবন দিতে হলো।’
রিজভী আরো বলেন, ‘এ সময়ের শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদ। মৃতুঞ্জয়ী আবরার ফাহাদ দেশের জন্য জীবন দিয়ে মৃত্যুকে জয় করেছে। এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার যুদ্ধের প্রধান প্রেরণা হয়ে থাকবে। সে আমাদের প্রাণের পতাকা।’
‘গোটা দেশকে এখন একটি টর্চার সেলে পরিণত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো এখন কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প। ছাত্র-যুবক-আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই এখন আওয়ামী লীগের টর্চার সেলের নির্মম শিকার। আপনারা দেখেছেন, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের পর সেখানে পাওয়া গেছে আধুনিক টর্চার সেল। যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের অফিসে পাওয়া গেছে টর্চার সেল। বুয়েট ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহার ২০১১ নম্বর কক্ষ যেখানে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হয়, সেই কক্ষটিও একটি টর্চার সেল। একদিকে চলছে গুম, খুন, অপহরণ আর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। অপরদিকে সারা দেশে রয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের টর্চার সেল।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বাস্তবে খুনি ও স্বৈরাচারের কাছে বিচার চাওয়ার সময় এখন না। এখন সময় এসেছে স্বৈরাচারের বিচারের। যারা নিজেদের ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য একের পর এক দেশবিরোধী চুক্তি করে দেশের সব কিছু অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছে তাদের বিচার করতে হবে।’