আনসার সদস্যকে হত্যার দায়ে ৩ ছিনতাইকারীর মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীর শ্যামলীতে আনসার সদস্য ফজলুল হককে গুলি করে হত্যার দায়ে তিন ছিনতাইকারীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভূইয়া বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পাপ্পু ওরফে অন্তু, তারিকুর রহমান ওরফে শিবলী হোসেন ওরফে উজ্জ্বল এবং শুক্কুর আলী ওরফে সোহেল। এর মধ্যে প্রথম দুই জন পলাতক রয়েছেন ও শুক্কুর আলী আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আবু আব্দুল্লাহ আরো বলেন, আসামি শুক্কুর আলীকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আরেক ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা করেছেন বিচারক এবং তা দিতে ব্যর্থ হলে আরো ছয় মাস কারাগারে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৩ মার্চ সকাল পৌনে ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাজধানীর শ্যামলীর ২ ও ৩ নম্বর রোডে দায়িত্ব পালন করছিলেন আনসার কনস্টেবল আব্দুল জলিল ফরাজী ও ফজলুল হক। বেলা পৌনে ১টার দিকে ৩ নম্বর রোডের মাথায় কনস্টেবল আকমান হোসেন গুলির শব্দ শুনতে পান। তিনি এগিয়ে দেখেন, আনসার সদস্য ফজলুল হক পড়ে আছেন। জলিল ফরাজী ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন। ছিনতাইকারীরা রিভলবার দিয়ে আকমান হোসেনকে গুলি করে। আকমান হোসেনও তার শটগান দিয়ে একটি গুলি করেন। পরবর্তী সময়ে ছিনতাইকারীরা জলিল ফরাজীকে গুলি করে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরে ফজলুল হককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল ল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নথি থেকে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আকমান হোসেন ঘটনার দিনই মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরের বছর ৩১ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে উপপরিদর্শক (এসআই) নূরে আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।