পিকআপ চালককে হত্যার দায়ে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পিকআপভ্যান চালক কেরামত হাওলাদার (৩৫) হত্যা মামলায় সাত আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাত আসামির মধ্যে পাঁচজনের উপস্থিতিতে এ রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন তোফা মোল্যা (৩০), পলাশ ফকির (৩৬), সিদ্দিক খালাসি (৪০), এরশাদ মাতুব্বর (৩৬), সুরুজ ওরফে সিরাজুল খাঁ (৩১), নাইম মাতুব্বর (৩৯) ও আনু মোল্যা ওরফে আনোয়ার মোল্যা (৩২)। আসামিরা প্রত্যেকেই ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা। আসামিদের মধ্যে নাইম মাতুব্বর ও সুরুজ ওরফে সিরাজুল পলাতক।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) দুলাল চন্দ্র সরকার জানান, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ভাঙ্গা উপজেলার উত্তর লোহারদিয়া গ্রামের পিকআপভ্যানের চালক কেরামত হাওলাদার নিখোঁজ হন। পরদিন ভোরে পাশের ছলিলদিয়া দিঘলকান্দা বিল থেকে কেরামতের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পরই ১৫ ডিসেম্বর নিহত কেরামতের ভাই ইকরাম হাওলাদার বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় মামলা করেন। পুলিশ মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে তোফা মোল্যাকে আটক করলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে বাকি আসামিদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
পরে মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত আজ সাত আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।