আবরারের পরিবার জামায়াত-শিবির, এমন বক্তব্য দেননি এসপি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের পারিবার জামায়াত-শিবির বলে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের যে বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে তা মিথ্যা বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত।
সংবাদ সংস্থা ইউএনবি জানায়, এস এম তানভীর আরাফাত স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এমন বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সাইফুল ইসলাম কুষ্টিয়ায় উপস্থিত হয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সেক্রেটারি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিহত আবরার ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার রায়ডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে তাঁরা ফাহাদের দাদা, বাবা, চাচা ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন। কবর জিয়ারত শেষে তাঁর বাবা ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভিসি মহোদয় ঢাকায় ফিরে যান এবং পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়াসহ অন্যান্যরা কুষ্টিয়া ফিরে আসেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কিছু কিছু গণমাধ্যম পুলিশ সুপার কুষ্টিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচার করছে যে, আবরার ফাহাদের পরিবার জামাত-শিবির। কিন্তু পুলিশ সুপার সেখানে কোনো বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেননি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল অতিরঞ্জিত করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল ও পুলিশের ভাবমূর্তি খুন্ন করার জন্য এসব মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।’
প্রসঙ্গত, রোববার দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের শের-ই- বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার সকাল ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শের-ই- বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। আবরারের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে।