আদালতে সম্রাট, বাইরে নেতাকর্মীদের ভিড়, স্লোগান
সদ্য বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়েছে। সম্রাটকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পুরান ঢাকার আদালত চত্বরে হাজির করা হয়।
তার আগেই সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন যুবলীগের শত শত নেতাকর্মী। তাঁরা সেখানে সম্রাটের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। এ সময় আদালত চত্বরে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি আজ সিএমএম আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন জানান, গত ৯ অক্টোবর সম্রাটের রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওই দিন সম্রাট অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় আজ রিমান্ড শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়।
গত ৭ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুল হক ভূঁইয়া সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিন ও তাঁর সহযোগী আরমানের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
নথি থেকে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর বিকেল ৪টায় র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলা দুটি করেন। এর মধ্যে মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকেও আসামি করা হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে স্টার লাইন পরিবহনের মুনীর হোসেন চৌধুরীর বাসা থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করে র্যাব। পরে তাঁদের ঢাকায় নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে নিয়ে অভিযানে বের হয় র্যাব। রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে তাঁর কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। সেখানে অবৈধ পিস্তল, গুলি, ক্যাঙ্গারুর দুটি চামড়া, ১৬ বোতল বিদেশি মদ, এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, নির্যাতন করার জন্য বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার যন্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। একই সময় সম্রাটের মহাখালী ও শান্তিনগরের ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় র্যাব।
পরে কাকরাইলের নিজ কার্যালয়ে ক্যাঙারুর চামড়া রাখার দায়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এই আদেশ দেন। পরে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া মাতাল অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়ায় এনামুল হক আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতে তাঁকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।