আজারবাইজানের ন্যাম সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৮তম সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী বুধবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকু যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুই দিনব্যাপী (২৫-২৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
আগামী ২১ ও ২২ অক্টোবর ন্যাম সদস্য দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বৈঠকের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। আর ২৩ ও ২৪ অক্টোবর ন্যামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
১৮তম শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে আজারবাইজান আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী তিন বছরের জন্য ন্যামের সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করবে।
ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার পতন ও আফ্রিকা, এশিয়া, লাতিন আমেরিকা ও বিশ্বের অন্য অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে এবং স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন ন্যাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার পতনের মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছিল ন্যাম, যা পরে অনেক দেশ ও জাতির মুক্তি এবং স্বাধীনতা অর্জন ও ১০টিরও বেশি নতুন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছিল।
ন্যাম প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই নিরপেক্ষ দেশগুলোকে নিয়ে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা সংরক্ষণের আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে।
ন্যামের প্রথম সম্মেলন যুগোস্লাভিয়ার বেলগ্রেডে ১৯৬১ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সংগঠনটির বর্তমান সদস্য দেশ ১২০টি। পাশাপাশি ১৭টি পর্যবেক্ষক দেশ ও ১০টি পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে।
পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ার মাঝামাঝিতে অবস্থিত দেশ আজারবাইজানের জনসংখ্যা মাত্র ১০ মিলিয়ন। বহুজাতিক ও বহু ধর্মীয় দেশটির ৯৬ শতাংশ নাগরিক মুসলমান।