৮ নারীকে ধর্ষণ ও হত্যাকারী ‘সিরিয়াল কিলার’ বাবু নাটোরে গ্রেপ্তার
অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল আট নারী ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত সিরিয়াল কিলার বাবু শেখ। গতকাল শনিবার নাটোর রেলস্টেশন থেকে তিন সহযোগীসহ তাকে আটক করে নাটোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা টিম।
আজ রোববার দুপুরে নাটোর পুলিশ অফিস চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এ কে এম হাফিজ আক্তার।
অদ্ভুত মানসিকতার খুনি বাবু শেখ। তিনি টার্গেট করতেন নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের নারীদের। মাছ শিকার ও বিক্রেতার ছদ্মবেশে পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে ঠিক করতেন টার্গেট। এরপর সুযোগ বুঝে হানা দিতেন ওইসব নারীর ঘরে। তার শিকার হয়েছে ১৩ বছরের কিশোরী থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত। বাবু শেখের বাড়ি নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার হরিশপুর হলেও বেশিভাগ সময় থাকতেন নাটোর রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে। ২০১৪ সালে বাবু শেখের প্রথম শিকার হয় নাটোরের নলডাঙ্গা থানার খাজুরা গ্রামের স্কুলছাত্রী মরিয়ম খাতুন লাবনী। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বাবু। এরপর তিনি নাটোরে হত্যা করেন আরো চার নারী সাবিনা, রেহেনা, আমেনা ও বৃদ্ধা শেফালী বেগমকে। এ সময় তিনি ধর্ষণ করে তিন নারীকে। হত্যার পর তিনি লুটে নিতেন নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল।
এছাড়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাবু শেখ টাঙ্গাইলে দুই নারী ও নিজ জেলা নওগাঁয় এক নারীকে হত্যার কথা শিকার করেন বলে জানান রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার।
সিরিয়াল কিলার বাবু শেখকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো হত্যার তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করেন ডিআইজি। এজন্য তাদের বিভিন্ন মামলায় পৃথকভাবে রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাবু শেখের সঙ্গে আটক অপর তিনজন হলেন নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার রইচ সাকিদার ও জিয়ারুল এবং নওগাঁর আবুল কালাম।
চুরির কারণে গ্রামছাড়া বাবু শেখ কী কারণে নারীদের টার্গেট করে হত্যা করতেন সে রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে বলে জানান নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।