কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিবারকে অবরুদ্ধ, উদ্ধার করল পুলিশ
কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ার জেরে তরুণীর পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যে মারধরের অভিযোগ এনে সালিশি বৈঠকে অন্যায়ভাবে জরিমানা করা হয়। আর সেটা দিতে অস্বীকার করায় ওই পরিবারের সব সদস্যকে ঘরে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে প্রতিপক্ষরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
শনিবার দিবাগত রাতে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের পরিবারকে এভাবে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটে।
অবরুদ্ধ হওয়া মনিরুল সাংবাদিকদের জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী জালাল হোসেনের ঘরের ছাদে তাঁর স্ত্রী সাহেরা বেগম ধান শুকাতে দেয়। বেলা ১১টার দিকে ছাদে থাকা তার মেয়েকে জালাল কুপ্রস্তাব দেন। এমন প্রস্তাবে ক্ষিপ্ত হয়ে তার মেয়ে জালালকে গালমন্দ করেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার দুই মেয়েকে কিল-ঘুষি মারেন। ব্যাপারটি স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানান মনিরুল।
মনিরুল আরো জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে জালাল মনিরুলের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় রিকশা থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পান। ওই দিন বিকেলে জালাল তার দলবল নিয়া মনিরুলের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং তার শিশু সন্তান হানজালাকে মারধর করে।
উক্ত বিষয় নেয়ে ১৯ অক্টোবর শনিবার রাতে জালালের বাড়িতে কেরণখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ও মোস্তাক মেম্বার উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকে মোস্তাক মেম্বার মনিরুলের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ রায়ে চেয়ারম্যান আপত্তি জানিয়ে উঠে যান। মনিরুলও এ রায়কে নাকচ করে উঠে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জালাল তার দলবল নিয়ে মোস্তাক মেম্বারের উপস্থিতিতে তাদের ঘরের দরজায় তিনটি তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।
পরে রাত সাড়ে ৪টার দিকে ৯৯৯ কল দিলে ভোর ৫টায় চান্দিনা থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) সেকান্দর মোল্লা ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘরের তালা ভেঙে মনিরুল, তাঁর স্ত্রী, কন্যা, নাতিসহ সবাইকে উদ্ধার করে। এরপর তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী পরিদর্শক (এসআই) সেকান্দর মোল্লা বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে অবরুদ্ধ ওই পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করি। পরে মনিরুলের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’