এবার আবরারের রুমমেট মিজান রিমান্ডে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় এবার তাঁর রুমমেট মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেন।
মামলার আইনজীবী জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান আসামি মিজানুর রহমানকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১০ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে আবরারের রুমমেট মিজানকে আটক করা হয়। মিজান অসুস্থ থাকায় তাঁকে সেদিন আদালতে উপস্থাপন করে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটার রিসোর্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে তাঁর ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পরের দিন ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১২ জনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এ পর্যন্ত মোট সাতজন জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার মামলার ১৫ নম্বর আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাত ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তাঁরা হলেন মামলার ৫ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ৭ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ৩ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ৯ নম্বর আসামি মুজাহিদুর রহমান, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক ও মামলার ৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান রবিন, ৬ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাহিত্য সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির, ১০ নম্বর আসামি খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর ও ১৫ নম্বর আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাত।