এবার হত্যা মামলায় খালেদ রিমান্ডে
রাজধানীর খিলগাঁও থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজ খালেদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ৩০ মিনিটে আসামি ও তার অন্য সহযোগীদের সহায়তায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে খিলগাঁও থানাধীন আনোয়ার হোসেনের বাড়ির গেটের সামনে ইসরাইল হোসেন ও শরীফ হোসাইন সায়মনকে লক্ষ্য করে গুলি করে ৩৮ লাখ টাকা ছিনতাই করে। ঘটনাস্থলেই শরীফ হোসেন মৃত্যুবরণ করে এবং ইসরাইল হোসেন গুরুতর আহত হন। পরবর্তী সময়ে তিনিও চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় রাজধানীর খিলগাঁও থানায় বাদী হয়ে মামলা করা হয়। সে মামলায় আজ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
এর আগে রাজধানীর গুলশান ও মতিঝিল থানায় দায়ের করা অস্ত্র ,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের বিভিন্ন মেয়াদে খালেদকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় র্যাবের বিশেষ অভিযানে গুলশানের বাসায় তল্লাশি করে অস্ত্র, মাদক ও বিপুল দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ খালেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বুধবার খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে আটক করে র্যাব। সময় ওই বাসা থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া যায় বলে র্যাব জানায়। তাঁকে পরে র্যাব ৩-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় খালেদ মাহমুদকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে র্যাব।
একই দিন সন্ধ্যায় মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকায় ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। ওই ক্যাসিনোর মালিক হচ্ছেন আটক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এর আগে ওই দিন ফকিরেরপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা অবস্থায় নারী ও পুরুষ মিলে ১৪২ জনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ওই ক্লাবের মালিক যুবলীগ নেতা খালেদ বলে জানা গেছে।