এক এগারোর মতো ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই : গণপূর্তমন্ত্রী
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করে কেউ সফল হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ দেশে কোনো লাভ হবে না। কেউ যদি ওয়ান ইলেভেনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চান, তাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে।’
আজবুধবার রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনেইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন গণপূর্তমন্ত্রী।
ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মতিন ও বিজনেস ইনস্টিটিউট অব ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম সুলতান আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘তলাবিহীন ঝুঁড়ির বাংলাদেশকে এত উন্নত জায়গায় নিয়ে এসেছেন শেখ হাসিনা, এ নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি যারা করেন না তারাও বিস্ময় প্রকাশ করেন। কিন্তু ক্ষমতালিপ্সু কয়েকজন কখনো প্রেসক্লাবের সামনে, কখনো পল্টনে নানা রকম উদ্ভট কথা বলছেন। রাজনীতির অন্ধ গলিতে গিয়ে উদ্ভ্রান্ত হওয়া মানুষগুলো প্রলাপ বকলে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে না।’
দেশের উন্নয়নে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ভূমিকা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের দক্ষতা, কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও একাগ্রতা অত্যন্ত সময়োপযোগী। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথচলায় আপনারা গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধা। যে যেখানে আছি, সে জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অনৈতিকতা এগুলো কোনোভাবে বরদাশত করা হবে না। দুর্নীতিকে কোনোভাবে আমরা প্রশ্রয় দিতে চাই না। স্বচ্ছ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশকে পরিবেশসম্মত, সমৃদ্ধ, আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশে পরিণত করা আমাদের লক্ষ্য। পরিবেশ রক্ষা করতে না পারলে আমাদের সব উন্নয়ন অর্থহীন হয়ে যাবে। এ জন্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। শহরের সব নাগরিক সুবিধা গ্রামের প্রত্যেক মানুষের কাছে আমরা পৌঁছে দিতে চাই। আমরা গ্রামে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে যাব, রাস্তা উন্নত হবে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস পৌঁছে দেব। যাতে মানুষ শহরমুখী না হয়। প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ করে নাগরিক সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’