বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরে আজ বুধবার সকালে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা আগুনে ১৯টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে কমপক্ষে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন। এ সময় আগুন আতঙ্কে পূর্ণিমা রানী নামের এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। 

মোরেলগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা খ ম আরিফুল হক এনিটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ সকাল পৌনে ৬টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে সদরের জুতাপট্টি বাজারে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে স্বর্ণ ব্যবসায়ী রঙ্গলাল কর্মকারের মা পূর্ণিমা রানী (৭০) আতঙ্কে মারা যান। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন ১০-১২ জন। আহতদের মধ্যে সঞ্জীব কুণ্ডু (৪২), রেঞ্জান শেখ (৩২) ও কালাচাঁদ কুণ্ডুকে (৪৫) স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে নিউ ভ্যারাইটি স্টোর, সিয়াম কসমেটিকস, রংধনু সু স্টোর, ভাই ভাই কসমেটিকস, ঠাকুরের কাপড়ের দোকান, হৃদয় ক্লথ স্টোর, গৌতম শাহার মুদি দোকান, নজরুল ইসলামের মুদি দোকান, সাগর স্টোর, তপনের মুদি দোকান, সুখলাল শীলের বেকারি, স্বপন দাসের মুদি দোকান, ইদ্রিস ও মোনাসেফের ফলের দোকান। 

আগুনে বিদ্যুৎ বিভাগেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন লাইন টেকনিশিয়ান আনিসুর রহমান। রাস্তার ওপর পলিথিন ও ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। 

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহ-ই-আলম বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম, ভাইস চেয়ারম্যান আজমীন নাহার, মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।