শেরপুরে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বৈরী আচরণের অভিযোগ আ.লীগ প্রার্থীর

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বৈরী আচরণের অভিযোগ তুলেছেন শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী মো. আকবর হোসেন। তিনি তিনটি কেন্দ্রে ভোট ও ফল কারচুপির অভিযোগ এনে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে শেরপুরের স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আকবর হোসেন বলেন, ‘জংগলদি, টাকিমারী ও কুলুরচর বেপারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাতীয় পার্টির আবদুর রউফের পক্ষে ভোট ও ফল কারচুপি করে তাঁকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। টাকিমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরবিহীন জাল ব্যালট পেপার ভোট বাক্সে ফেলা হয়েছে।’
তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে কুলুর চর বেপারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘এই কেন্দ্রটিতে তিন/চার ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ভোটারদের ভোটদানের সুযোগ দেওয়া হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগের বিষয়ে জাতীয় পার্টির বিজয়ী প্রার্থী আবদুর রউফ এনটিভিকে বলেন, ‘এমন উল্টো ধারার অভিযোগ সম্পর্কে আমার বক্তব্য হলো আমার নিজস্ব কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত জংগলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট পড়েছে ৬৪ শতাংশ আর অভিযোগকারী আকবর হোসেনের নিজস্ব কেন্দ্র সাতপাকিয়া ভোট পড়েছে ৮৪ শতাংশ। এ থেকে বোঝা যায়, তার অভিযোগ কতটুকু সত্য।’
আবদুর রউফ বলেন, ‘আমি আরো বিপুল ভোটে বিজয়ী হতাম, কিন্তু ভোটের আগের রাতে আমার সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে পরদিন ভোটারদের ভয় দেখানোর ফলে ভোট প্রদানের হার কমে যাওয়ায় আমি অল্প ভোটে জয় পেয়েছি।’
এ ব্যাপারে শেরপুরের জেলা প্রশাসক ডা. এ এম পারভেজ রহিম এনটিভিকে বলেন, ‘প্রশাসনের চেষ্টা হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। শেরপুরের জনগণ নির্বাচন বিষয়ে প্রশাসনের কার্যক্রম দেখেছে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের চেষ্টা করেছি। আগামীর নির্বাচনগুলোও সুষ্ঠু করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নেব।’
এদিকে গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে শেরপুরে অনুষ্ঠিত ছয়টি ইউনিয়নের নির্বাচন নিয়ে অন্যতম প্রধান দল বিএনপি, জাতীয় পার্টি কোনো অভিযোগ না করলেও স্বয়ং সরকারি দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এমন অভিযোগে জেলা সদরে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।