সুজানগরে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ

পাবনার সুজানগর উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক সদস্য প্রার্থীর চাচিশাশুড়ি মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহাম্মদপুর ইউনিয়নের আহাম্মদপুর দক্ষিণচর গ্রামে গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
তবে পাবনার পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের সঙ্গে ওই বৃদ্ধার মারা যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। চারদিন ধরে ওই নারী অসুস্থ ছিলেন। যেহেতু মারা যাওয়া নারী একজন সদস্য প্রার্থীর চাচিশাশুড়ি, তাই নির্বাচনের রং দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী বিএনপি নেতা জহুরুল ইসলাম জিন্নাহ তাঁর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিশাল মহড়া শেষ করে আহাম্মদপুর দক্ষিণচর গ্রামে তাঁর বাড়িতে নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেয়। সমাবেশ চলার সময়ে রাত ৮টার দিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়ার ছেলে রাজীবের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন আট-দশটি মোটরসাইকেলে করে সমাবেশের লোকজনের ওপর লাঠিসোটা দিয়ে হামলা চালায়। এতে সমাবেশে আসা জামেনা খাতুন (৫০) নামের এক নারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। হামলাকারীরা আমিনপুর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তারটিসহ সাত-আটটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তারা একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
হামলায় গুরুতর আহতরা হলেন ওয়াজেদ আলী (৪৫), খালেক সর্দার (৫০), জালাল (২২), শিলা (২০), গোপাল (৩২), মহিদুল (৩৪), সাইদুল মণ্ডল (২০), আলাল সর্দার (৪৫), আবদুল্লাহ আল মামুন (৪০)। তাঁদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জিন্নাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, তিনি ওই চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ না করায় তাঁর সমাবেশের ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলায় তাঁর চাচিশাশুড়ি জামেনা খাতুন নিহত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়া হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, ইউপি সদস্য প্রার্থীর লোকজনরাই হামলা চালিয়ে তাঁর কর্মী আবদুল্লাহ আল মামুনকে আহত করেছে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম তাজুল হুদা এনটিভি অনলাইনকে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।