বাগমারায় ইউপি নির্বাচনে আ.লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে।
সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শফি কামাল বাবুলের ১০ সমর্থক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নরদাশ ইউনিয়নে গোলাম শফি কামাল বাবুলের সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য হাটমাধনগর এলাকায় যান। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুর রশীদ মাস্টারের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় ১০ জন আহত হয়। এ সময় চারজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শফি কামাল বাবুল অভিযোগ করেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করে।
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশীদ মাস্টার। তিনি দুজনকে আটক করে স্কুলঘরে বন্দি রাখার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শফি কামাল বাবুলের লোকজন তার নির্বাচনী এলাকার সব পোস্টার ও বিলবোর্ড ছিঁড়ে ফেলেছে। যার কারণে তাঁর সমর্থিত লোকজন তাঁদের দুজনকে আটক করে স্কুল ঘরে বন্দি রেখে পুলিশকে খবর দিয়েছে। পুলিশ আসলে আমরা তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেব।’
গোলাম শফি কামাল বাবুল অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুর রশীদের লোকজন তাঁদের পোস্টার সাঁটানো দেখলেই সেগুলো ছিঁড়ে ফেলে। এ ছাড়া রাতের অন্ধকারে আমাদের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আসছে। গতকাল আমার লোকজন হাটমাধনগর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ১০ জনকে আহত করেছে। এ ছাড়া চারজনকে অপহরণ করে মারধর করেছে।’
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। যাদের অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল, তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।’