জাল ভোট দেওয়ায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ আটক ১৮

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ব্যালট ছিনতাই, গুলি ও আটকের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। আজ শনিবার সকালে ভোট শুরু হওয়ার পর ফুলবাড়িয়ার দেওখলা ও ভবানীপুর ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের কর্মীসহ ১৮ জনকে আটক করে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার দেওখলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলাম বাবুলের সমর্থক আসাদুজ্জামান, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সহিদুল্লাহ খান ও সোলেমান, পোলিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, মাহমুদা খাতুন, এজেন্ট হেলাল উদ্দিন এবং ভবানীপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুস সালামের সমর্থক মাজহারুল ইসলাম, নুরুল আমীন, রিয়াজ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, সাদেকুর রহমান, রাশেদুর ইসলাম, জিয়াউর রহমান, সাইফুল ইসলাম, ফজলুল হক, জুলফিকার হায়দার ও জামাল উদ্দিন। তাঁদের ফুলবাড়িয়া থানা হাজতে রাখা হয়েছে।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজীব জানান, দেওখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাজুল ইসলাম বাবুলের পক্ষে ব্যালটে জোরপূর্বক সিল মারার জন্য আওয়ামী লীগ কর্মী আসাদুজ্জামানকে আটক করা হয়। এ ছাড়া দুপুরে ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালামের পক্ষে ব্যালটে সিল মারার অপরাধে আটক করা হয় দুজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, তিনজন পোলিং কর্মকর্তা, একজন এজেন্টসহ ১৮ জনকে। এই ঘটনায় ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভবানীপুর কেন্দ্রে দুটি, নাওগাঁও কেন্দ্রে ১২টি, রাঙ্গামাটিয়া কেন্দ্রে তিনটি ও আন্ধারিয়াপাড়া কেন্দ্রে পাঁচটিসহ ২২টি গুলি করে।