কক্সবাজারে ৩০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে কক্সবাজার জেলার ২০টি ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ রোববার সকালে স্থানীয় প্রশাসন এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ছাড়া কুতুবদিয়ায় আরেকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁর নাম শফিকুর রহমান। তাঁর বাড়ি আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে।এ নিয়ে কুতুবদিয়ায় জলোচ্ছ্বাসে তিনজনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া জেলায় আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের আলী আকবর ডেইল, লেমশীখালী, উত্তর ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন, পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া, মগনামা ও রাজাখালী ইউনিয়ন, মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা, কুতুবজোম ও মাতারবাড়ী ইউনিয়ন, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন ও কক্সবাজার সদরের পোকখালী, গোমাতলী ও চৌফলদণ্ডী ইউনিয়ন এবং কক্সবাজার পৌরসভার বিমানবন্দরসংলগ্ন ১ নম্বর ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকার শতাধিক গ্রামে এখনো জোয়ার-ভাটা চলছে।
কক্সবাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বেড়িবাঁধের ২৮ কিলোমিটার এলাকা বিলীন গেছে। জেলায় ৫৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ রয়েছে বলে জানান তিনি। ক্ষয়ক্ষতি আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
বেড়িবাঁধ না থাকায় এখনো বিভিন্ন নিচু এলাকায় জোয়ার-ভাটা হচ্ছে। এসব এলাকার মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। তবে অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজ বাড়িতে গিয়ে উঠেছে।