রোয়ানুর তাণ্ডবে বিধ্বস্ত কুয়াকাটা

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর তাণ্ডবে থমকে গেছে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। লণ্ডভণ্ড হয়েছে কুয়াকাটার সৈকত। সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এখন কেবলই কংক্রিট আর ঝড়ে ভেঙেপড়া গাছের জঞ্জাল।
সাগরের জালোচ্ছাসে ভাসিয়ে নিয়ে এসেছে এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের জঞ্জাল। মূল সৈকতের জিরোপয়েন্ট থেকে পশ্চিমের শুঁটকি পল্লী ও লেম্বুর বনাঞ্চল এবং পশ্চিমে নারিকেল কুঞ্জ, ইকোপার্ক ও ঝাউবাগান এলাকায় এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে কুয়াকাটা সৈকত ঘুরে দেখা যায় রোয়ানুর তাণ্ডবের চিত্র।
কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসা পর্যটক আমানুল ইসলাম ও তরিকুল আহমেদ জানান, ছবির মতো কুয়াকাটাকে তাঁরা দেখেছিলেন আজ তা কেবলই যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো ধ্বংসস্থূপের মতো। যেখানে প্রাণের স্পন্দন নেই। বালুচাপা পড়ে আছে ক্ষয়ে যাওয়া স্থাপনা, রাস্তা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ধ্বংসাবশেষ। কুয়াকাটা সৈকতে এখন হাঁটার জায়গাও নেই।
সৈকতের নারিকেল বাগানে ঝিনুকের প্রসাধনী সাজিয়ে বিক্রি করতেন নাসিমা বেগম। তিনি দেখালেন, রোয়ানুর তাণ্ডবে তাঁর সেই বসার স্থানে পড়ে আছে বিধ্বস্ত গাছ।
কুয়াকাটার একাধিক ব্যবসায়ী জানান, কুয়াকাটা সৈকত এমনিতেই ভাঙনকবলিত। শুধু ঝড় না, অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে সাগরে যখন পানি বৃদ্ধি পায় তখনো ভাঙে। কিন্তু এবার মুহূর্তের মধ্যেই অনেক এলাকা ভেঙ্গে গেছে।
কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসা পর্যটকরা জানায়, সরকার ২০১৬ সালকে পর্যটন বছর ঘোষণা করলেও কুয়াকাটা সৈকতের উন্নয়ন কিংবা উন্নয়ন পরিকল্পনায় কোনো উন্নয়নকাজ হয়নি। আর এ কারণে ভঙ্গুর সৈকত ধীরে ধীরে ঝড়, জলোচ্ছাসে ভেঙ্গে আরো ধ্বংস হচ্ছে। সাগরগর্ভে বিলীন হচ্ছে সৈকতঘেঁষা প্রাকৃতিক বনাঞ্চল, সরকারি ইকোপার্ক ও বাগানের হাজার হাজার গাছ।