মুক্তাগাছায় জালভোট ব্যালট ছিনতাই, পুলিশের গুলি

ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, জাল ভোট প্রদান ও অন্তত চারটি কেন্দ্রে পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। দুটি কেন্দ্রে জালভোট দেওয়ার সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মুক্তাগাছা উপজেলার খেরুয়াজানি ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুকুল ইসলাম বিপ্লবের সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেন। এ সময় হাতেনাতে একজনকে আটক করা হয়। নৌকার সমর্থকরা তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ দুটি ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সহকারী পুলিশ সুপার আকতারুজ্জামান জালভোট প্রদানকালে একজন আটক ও দুই রাউন্ড গুলি বর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুল্লা ইউনিয়নের বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুস সামাদ মাস্টারের সমর্থকরা কেন্দ্র দখল ও ব্যালট পেপারের দুইটি বই ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ রেজাউল করিম ও সুলতান নামে দুইজনকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় পুলিশ তিনটি ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এ ঘটনার পর দুই ঘণ্টার বেশি সময় ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
কাশিমপুর ঝংকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদারের পক্ষে জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসক মোস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী ও পুলিশ সুপার মঈনুল হক নির্বাচন চলাকালে কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
নির্বাচনে তিন প্লাটুন বিজিবিসহ প্রায় ৯০০ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হয়। এ ছাড়া আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের ৩০টি ভ্রাম্যমাণ দল তদারকী করে।