শেয়ারবাজারে পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ লেনদেন
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস আজ মঙ্গলবার দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ও সূচকে রেকর্ড হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক হাজার ৬৯৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত পাঁচ বছর পাঁচ পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে ২০১১ সালের ২৮ জুলাই সর্বশেষ ডিএসইতে এক হাজার ৮০৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়।
এদিকে, লেনদেনের সঙ্গে সূচকও বেড়েছে বড় ব্যবধানে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৭৭ পয়েন্টে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, শেয়ারবাজার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক বক্তব্য দেওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। গত দুই দিনে পুঁজিবাজারে উল্লেখযোগ্য হারে সূচক ও লেনদেন হয়েছে। এটা বাজারের জন্য সুখকর নয়।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও শেয়ারবাজার বিশ্লেষক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শেয়ারবাজারটা কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল উন্নতির সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু কোম্পানির কোনো উন্নতি না হয়ে বাজারে শেয়ারের দাম তিনগুণ বেড়ে গেছে। এটা হয়েছে মূলত মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দেওয়ার ফলে, যা বাজারের জন্য সুখকর নয়।’
মহিউদ্দিন বলেন, ‘দেশের-ব্যবসা বাণিজ্যে বিনিয়োগ নাই। সবাই বিনিয়োগের জন্য চিৎকার করছে। প্রবাসী আয় কমে গেছে। এ অবস্থায় শেয়ারের দাম বাড়াটা আমাদের জন্য ভালো নয়। সামনে আমাদের জন্য খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে।’
আজ ডিএসইতে এক হাজার ৬৯৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ৪৫০ কোটি ১৫ লাখ টাকার লেনদেন বেশি হয়েছে। গতকাল ডিএসইতে এক হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২১৮টির, কমেছে ৭৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির শেয়ার দর।
এদিকে, ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৭৭ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৪০ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সিএসইতে ১০৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২৪২ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৯টির, কমেছে ৬০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দাম।