সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস আজ বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কমেছে ১৩১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার লেনদেন। এদিন সূচকেও নিম্নমুখিতা লক্ষ করা গেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই চিত্র দেখা গেছে।

শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ওঠানামা বাজারের সাধারণ চিত্র। এটাতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।      

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজ ডিএসইতে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা; যা আগের দিনের তুলনায় ১৩১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা কম। গতকাল বুধবার ৯৬১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, শেয়ারবাজারের ওঠানামা হওয়া ভালো। এটা বাজারের সাধারণ চিত্র। এটা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ১৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির শেয়ারের দর।

এদিন ডিএসইএক্স সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে পাঁচ হাজার ৫৮৬ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩০৪ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে দুই হাজার ২১ পয়েন্টে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমার পাশাপাশি সূচকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এদিন সিএসইতে ৪২ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএএসপিআই সূচক ৫২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩০১ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক ৩৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৯২ পয়েন্টে।

সিএসই৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ২৯ পয়েন্টে, সিএসই৫০ সূচক ১ পয়েন্টে কমে এক হাজার ২৬৫ পয়েন্টে এবং সিএসআই সূচক ১ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ১৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির শেয়ার দর।