মোবাইল ব্যাংকিং চার্জ কমাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সেবা দিতে যে চার্জ নেওয়া হচ্ছে তা অনেক বেশি উল্লেখ করে কমানোর উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।
আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অর্থ লেনদেনের ওপর প্রায় দুই শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হচ্ছে। এটা অনেক বেশি। কীভাবে এ চার্জ কমানো যায় সে বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা চাই মোবাইল ব্যাংকিং সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হোক। অনেকে এ সেবার অপব্যবহার করছে। অপরাধীরাও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুযোগ নিচ্ছে। এ জন্য আমরা একটি নীতিমালা করেছি।’
শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘নীতিমালায় কিছু অস্পষ্টতা থাকায় কিছু ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি তা এখন কেটে যাবে।’ তিনি জানান, বর্তমানে ১৭টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংককিং সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ১৬টি লোকসানে আছে। লাভ করছে শুধু বিকাশ। এসব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে সেবা দিয়ে থাকে।
এক প্রশ্নের উত্তরে শুভঙ্কর সাহা বলেন, দেশের মোবাইল ব্যাংককিং সেবার ৭৫ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে বিকাশ। তাই অপরাধের খবর তাদের বেশি। তবে সব কিছু বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে শুভঙ্কর সাহা বলেন, বিদেশে কিছু অসাধু লোক বিকাশের লোগো ব্যবহার করে এজেন্ট সেজে প্রতারণা করেছে। এ জন্য বিকাশ একটি নীতিমালা করেছে। যাতে করে অনুমতি ছাড়া কেউ তাদের লোগো ব্যবহার করতে না পারে।
সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সেবার সীমা কমানো হয়েছে। এতে একজন গ্রাহক তাঁর মোবাইল হিসাবে সর্বোচ্চ দুইবারে ১৫ হাজার টাকা জমা এবং ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এভাবে মাসে তিনি ২০ বারে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ জমা এবং ১০ বারে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারবেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ, মহাব্যবস্থাপক জি এম আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।