অবকাঠামো উন্নয়নে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহারের প্রস্তাব
দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ডিসিসিআই নেতারা এ প্রস্তাব দেন।
সভায় ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ‘বর্তমানে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৬ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং একে ২০ থেকে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা প্রয়োজন।’ এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে ব্যবহার করতে পারে বলে তিনি জানান।
আবুল কাসেম খান বলেন, ‘সম্প্রতি ব্যাংকে খেলাপিঋণের পরিমাণ বাড়ছে। গত ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপিঋণের পরিমাণ ছিল ৬২ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। এটা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক।’
ডিসিসিআইর সভাপতি জানান, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংকে জমাকৃত স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) ক্ষেত্রে সুদের হার ছিল গড়ে ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। অন্যদিকে ব্যাংক থেকে ঋণের সুদের হার প্রায় ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং এসএমই উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে যেটি প্রায় ১২ থেকে ১৪ শতাংশ।’ এ অবস্থায় ব্যাংকঋণ এবং এফডিআরের সুদের হারের মধ্যে সমন্বয় করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে ৮ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।’
ফজলে কবির বলেন, ‘গত বছরের এই সময়ের তুলনায় রেমিটেন্স-প্রবাহ কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ।’ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিটেন্স আসার ক্ষেত্রে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করা এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকরা, ডিসিসিআই পরিচালক খন্দকার আবদুল মোক্তাদির, আতিক-ই-রাব্বানী।