কর ফাঁকির প্রবণতা বন্ধের আহ্বান এনবিআরের
ভ্যাট ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানি থেকে মুক্তি চাইলেন ব্যবসায়ী নেতারা। ব্যবসায়ীদের কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বন্ধের তাগিদ দিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
আজ বৃহস্পতিবার এনবিআরের সঙ্গে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) মতবিনিময় সভায় এসব কথা উঠে আসে।
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে শুল্ক আদায়ের নানা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পণ্যের সঠিক শুল্কায়ন এবং খালাস করানোর নানা স্তরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা হয়রানির অভিযোগ করে আসছেন অনেকদিন ধরেই। অযৌক্তিকভাবে করের বোঝা না চাপানোরও আহ্বান জানান তারা।
পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কাস্টমসের কমিশনাররা বিভিন্ন সময় আমাদের যে হয়রানি করে, সেই হয়রানিগুলো (থেকে) আমরা মুক্তি পাইতে চাই। আমাদের কথা হলো যারা অন্যায় করে তাদের বিচার করেন, শাস্তি দেন, জেলে নেন, আমাদের কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু যারা ন্যায়ভাবে ব্যবসা করে তাদেরকে ন্যায়ভাবে ব্যবসা করতে দিন। তাদের অন্যায়ভাবে হ্যারাসমেন্ট করবেন না।’
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, হয়রানি বন্ধের চেষ্টা চলছে। তবে বন্ড সুবিধার অপব্যবহারসহ করের ক্ষেত্রে, নিয়ম বহির্ভুত কর্মকাণ্ডে না যেতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের অভিযোগটা ওইখানে যখন হয়রানির সম্মুখীন তাঁরা হন। তো সেই জিনিসটাকে আমরা রোধ করার চেষ্টা করব। ন্যায্যভাবে ব্যবসা করেন, আমরা সেই ব্যবসায় সহায়তা করব। কিন্তু সরকারের আরোপিত শুল্ক, কর সেগুলো যথাযথভাবে প্রদান করবেন। মিসডিক্লেয়ারেশন, তারপর ওভার ইনভয়েসিং, আন্ডার ইনভয়েসিং করে ব্যবসার পরিবেশটা যেন নষ্ট না হয়।’
এ সময় ব্যবসায়ী নেতারাও কর ফাঁকি দেওয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘কাস্টমস এবং অসাধু ব্যবসায়ী এদের বিরুদ্ধে আমরা যৌথভাবে—এনবিআর এবং এফবিসিসিআই—আমরা একসাথে কাজ করতে চাই। এ ধরনের ব্ল্যাকশিপ, দুই-একটা, যারা পার্সেন্টেজেই পড়ে না, তাদের যাতে আমরা ওয়াইপ আউট করতে পারি।’
এ ছাড়া আগামী বাজেটে ব্যবসা বান্ধব শুল্কনীতি গ্রহণের তাগিদ দেন ব্যবসায়ী নেতারা।