আজ শুক্রবার ছুটির দিনে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ছিল লোকে পরিপূর্ণ। দুপুরে বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা যায়, শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভিড়।

দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের জুয়েলারি স্টলগুলোও সাজানো হয়েছে নানাভাবে। মেয়েরা সেখানে ভিড় করলেও বিক্রি কম হচ্ছে বলে জানান এক বিক্রেতা। তিনি বলেন, ‘আজ শুক্রবার সকাল থেকেই মেলায় ভিড় বেশি, কিন্তু বিক্রি কম হচ্ছে। আমার স্টলে কানের দুল থেকে শুরু করে সব ধরনের জুয়েলারি আমি রেখেছি। ক্রেতা দেখছেন, কিন্তু তুলনামূলক অনেক কম কিনছেন। মেলার ১০ দিন হতে চলেছে, এখন ভালো বিক্রির সময়; কিন্তু সেটা হচ্ছে না। গত বছর এ সময়ে মেলায় অনেক বিক্রি হয়েছে।’

এবার কম বিক্রি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সেই বিক্রেতা বলেন, ‘নির্বাচন গেল। এটা একটা কারণ হতে পারে।’

অর্পা নামের এক বিক্রেতা তাঁর পণ্যের বিক্রি ভালো হচ্ছে বলে জানান। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল থেকে আমরা স্টলে ভালো বিক্রি শুরু করেছি। আমাদের ভাগ্য ভালো, আশানুরূপ ভালো বিক্রি হচ্ছে। আমার স্টলে মেয়েদের সাজের জন্য ল্যাকমে ব্র্যান্ডের সব পণ্য রয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ থেকে দুই বোনকে নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছেন বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কারিমা আক্তার সাথী। তিনি বলেন, ‘ছুটির দিন। তাই ঢাকায় বোনদের নিয়ে মেলায় এলাম। জুয়েলারি কেনার ইচ্ছে আছে। অনেক স্টল ঘুরেছি। কোনো জুয়েলারির দাম কম, আবার কোনোটার দাম একটু বেশি। তবে খুব বাড়াবাড়ি কিছু মনে হয়নি।’

জুয়েলারি বিক্রেতা সুমী বলেন, ‘আমাদের এখানে ১০ টাকা থেকে শুরু দুই হাজার টাকার জুয়েলারি আছে। তবে আশানুরূপ ভালো বিক্রি হচ্ছে না।’

অন্যদিকে, মেলায় রয়েছে হারবাল পণ্যের স্টলও । যেখানে ওষুধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাবার, তেল ও শ্যাম্পু পাওয়া যাচ্ছে। এসব পণ্যের বিক্রেতা মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমাদের এখানে ৫ টাকা শুরু করে হাজার টাকার পণ্য রয়েছে। বিভিন্ন রকমের আচার রয়েছে। ডায়েট ও স্ক্রিনের ওষুধও রয়েছে।’

হারবাল পণ্যের স্টলে রয়েছেন চিকিৎসকও। বিনামূল্যে সবার প্রেশার মেপে দিচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া সমস্যা শুনে কী ওষুধ লাগবে, সেটাও জানিয়ে দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের মডার্ন হারবাল গ্রুপের পণ্য পুরো বাংলাদেশে আছে। আমরা এখানে বিনামূল্যে রোগীদের সেবা দিচ্ছি। অনেকে ভিড় করছেন। অনেকে এখান থেকেই ওষুধ ও বিভিন্ন পণ্য কিনছেন।’

মেলার বিভিন্ন জায়গায় চাদর বিছিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের। কেনাকাটা করে ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন তাঁরা। বিভিন্ন প্যাভিলিয়নে ভিড় যেমন চোখে পড়ার মতো, তেমনি বাইরেও টিকেট কাউন্টারে ছিল দীর্ঘ লাইনের সারি। বোঝাই যাচ্ছে, ধীরে ধীরে জমে উঠছে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।