রাবি শিক্ষার্থীকে ‘পেটালেন’ রামেক ছাত্রলীগ নেতা
পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ছাত্রলীগের এক নেতা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার রাজশাহী নগরীর বন্ধগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার কামাল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়।
কামালের দাবি, মারধরকারীদের মধ্যে একজন হলেন, রামেক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সাজু। সাজুর বাড়িও নেত্রকোনায়। পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে সাজু ওরফে সাজু বাঙালি পাঁচ-ছয়জন যুবককে সঙ্গে নিয়ে কামালকে মারধর করেন।
কামাল হোসেন জানান, কয়েকদিন থেকে তাঁর মাথা ব্যথা করছিল। তাই তিনি মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে রামেকে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছিলেন। দুপুর ২টার দিকে বাস থেকে নগরীর লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ডে নামেন তিনি। এ সময় রামেক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজু বাঙালিসহ পাঁচ-ছয়জন যুবক তাঁকে জোর করে বন্ধগেট এলাকার এক ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়।
কামাল জানান, সেখানে তারা কামালকে রড ও পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে তাঁর শার্ট ও প্যান্ট খুলে উলঙ্গ করে ছবি তোলে মারধরকারীরা। অনৈতিক সম্পর্ক করতে গেছে এই মর্মে কামালের কাছ থেকে জবানবন্দি রেকর্ড করে তারা। এ সময় কামালের কাছে থাকা আড়াই হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয় তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে কামালকে দেখতে যাই। কামালের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি- মারধরকারী ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফের সঙ্গে তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণেই কামালকে মারধর করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। তারপর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে সাজু বাঙালির মুঠোফোনে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধরের বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলে প্রতিবেদককে জানান।