৪০ আন্দোলনকারী মুক্তি না পেলে ফের অবরোধের হুমকি
চাকরিক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় আটকদের মুক্তি না দিলে ফের সারা দেশে অবরোধের মতো কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আজ সোমবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আন্দোলনকারীদের সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, ‘আমাদের ৪০ জন সাধারণ আন্দোলনকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এখনই তাঁদের মুক্তি না দিলে আজ বিকেল ৩টা থেকে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
‘সরকার যদি আমাদের দাবি না মেনে নেয়, আজ থেকেই আমরা সারা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করব,’ যোগ করেন আন্দোলনের এই নেতা।
সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবিতে গতকাল রোববার থেকে সারা দেশে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বানে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে গতকাল বিকেল ৩টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
রাত পৌনে ৮টায় শাহবাগে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা ঢাবি এলাকা। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এরপর দফায় দফায় চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া আর সংঘর্ষ। বাড়তে থাকে আহতের সংখ্যা, যেখানে ছিল পুলিশ সদস্যও। গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করা হয়।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসব বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের সময় সাংবাদিকরা উপাচার্যের বাসভবনে হামলার প্রসঙ্গটিও আনেন।
তখন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক হামলায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে উল্টো প্রশ্ন তোলেন, ‘স্যারের বাসার সামনে সব সময় পুলিশ থাকে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা স্যারের বাসার দেয়াল ভেঙে বাসায় ঢোকেনি, তাহলে ভেতরে গিয়ে হামলা করল কীভাবে?’
নুরুল হক আরো বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনকে থামাতে এই পরিকল্পিত হামলা করা হয়েছে।’ ভিসি স্যারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার বাসায় কে বা কারা হামলা করেছে, তাদের শনাক্ত করুন, বিচার করুন।’