রুয়েটে বাসচালককে ‘কুপিয়ে’ হত্যার ঘটনায় মামলা
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আবদুস সালামকে ‘কুপিয়ে’ হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে নিহতের বড় ছেলে হাসিবুল ইসলাম পলাশ এ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তবে আটককৃতের পরিচয় জানা যায়নি। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী হাসনা বেগম জানান, তাঁর এক প্রতিবেশী আবদুস সালামকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে নিহতের ছেলেদের খবর দেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
হাসনা বেগম আরো জানান, চার বছর আগে তাঁর বড় ছেলে পলাশের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের ঝামেলা হয়। ওই ঘটনায় পলাশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। মামলাটি এখন বিচারাধীন রয়েছে। গত রোববার ওই মামলার সাক্ষী দেন তাঁর স্বামী। এরপরের দিনই এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে নগরীর মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুব আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে পলাশ মঙ্গলবার সকালে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আমরা সন্দেহভাজন একজনকে আটকও করেছি। নিহতের পদোন্নতি এবং পলাশের সঙ্গে স্থানীয়দের বিরোধের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকতা।
এদিকে, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে রুয়েটের কর্মচারী সমিতির নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করে। কর্মসূচি থেকে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দেন।
এ ছাড়াও ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর সাত দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- সব রাস্তা ও হাঁটা পথে উজ্জ্বল আলোর ব্যবস্থা করা, সব ফটক, মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, অগ্রণী গেট বন্ধ করা এবং সব প্রবেশ পথে যানবাহন স্ক্যানিং সিস্টেম চালু করা, খেলার মাঠে রুয়েট শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা, জরুরি প্রয়োজনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয়কে এর ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।
জানতে চাইলে রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গুরুত্বের সঙ্গে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত তদন্ত করে খুনিদের বের করার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুয়েটের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের পাশে আবদুল সালামকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি রুয়েটের কর্মচারী কোয়ার্টারেই থাকতেন।