ঢাবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ-মিছিল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা বাতিলের ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি না হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ-মিছিল ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের মধ্য দিয়ে ধর্মঘট পালন করছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলছে, প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আন্দোলন চলবে।
আজ সোমবার সকালে ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয় হাজারো শিক্ষার্থী। এ সময় কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারে প্রজ্ঞাপন জারির আহ্বান জানিয়ে স্লোগান দেয় তারা।
এদিন সকাল ১০টায় বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে জড়ো হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের একটি অংশ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘আর নয় কালক্ষেপণ, দিতে হবে প্রজ্ঞাপন’, শেখ হাসিনার ঘোষণা, বাস্তবায়ন করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
এ দিকে বিভিন্ন বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে অনেকেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে বলে জানিয়েছে।
গত ৮ এপ্রিল থেকে টানা পাঁচদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই ঘোষণার আজ এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। সর্বশেষ ১০ মে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান ‘কোটা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে’ বলে জানালেও প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।