কোটা সংস্কার : পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত বাতিল
জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা বাতিল-সংক্রান্ত ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে জারির দাবিতে ডাকা পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। তবে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মঞ্চ ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এ কথা জানান।
মামুন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আমরা পরীক্ষা বর্জন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, সামনে রমজান হওয়ার কারণে পরীক্ষা বর্জন করলে সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সবাইকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছেন বলে জানান মামুন। তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে যেহেতু আশ্বস্ত করা হয়েছে, সে জন্য আপাতত আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না।’
ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন হলেও নির্ধারিত পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আন্দোলনকারীদের ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘কোটা সংস্কার চাই (সব চাকরি পরীক্ষায়)’ গ্রুপটি হ্যাক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তবে সকাল নাগাদ সেটি আবার উদ্ধার করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সম্প্রতি দেশব্যাপী তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলেন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘যখন চায় না, তাহলে দরকার কী? কোটা পদ্ধতিরই দরকার নাই। যারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা প্রতিবন্ধী, তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারব।’
এর পর পক্ষে বিভিন্ন সময় সরকারের মন্ত্রী জানান, শিগগিরই কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও এ বিষয়ে কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা হতাশা প্রকাশ করেন। দ্রুত কোটা পদ্ধতি বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা রয়েছে।