‘বঙ্গবন্ধুর কটূক্তিকারীরা কোটা আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা নিয়ে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের সমাবেশে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা ইতিহাস বিকৃতির অপপ্রয়াস বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ডুটা)। তারা বলেছে, এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে চক্রটি কোটা আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে।
আজ মঙ্গলবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন বক্তব্য দিয়েছেন।
গত ১৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অধ্যাপক আকমল হোসেন (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী, তিনি কি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন? তাঁর পিতা... তিনি কি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন?’
এই বক্তব্যের প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি তাঁর (অধ্যাপক আকমল হোসেন) এ ধরনের বক্তব্য ইতিহাস বিকৃতির অপপ্রয়াস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী, সংবিধানবিরোধী এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এসব মিথ্যা ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই চক্র কোটা আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছেন এবং ঢাবিকে অস্থিতিশীল করার হীন ও গভীর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন।’
‘আমরা বিস্মিত হই এই ভেবে যে, এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য সত্ত্বেও উক্ত সমাবেশের আয়োজকরা তাঁর এ বক্তব্যের কোনো প্রতিবাদ তো করেনইনি, বরং বাহবা দিয়েছেন। ঘটনা পরম্পরায় প্রতীয়মান হয় যে জনাব আকমল হোসেনের এই বক্তব্য তাঁর একক বক্তব্য নয়, এটি সেই অতি প্রতিক্রিয়াশীলদের অপভাবনার বহিঃপ্রকাশ; যারা মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বারংবার বিতর্ক তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করে তারা শুধু মুক্তিযুদ্ধকেই নয়, বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপরও আঘাত করেছে,’ বলে বিবৃতি দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘তরুণ-বুদ্ধিদীপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেগ ব্যবহার করে মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করার এ অশুভ ও অপরাজনৈতিক প্রয়াসের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে তাঁর এই বক্তব্য অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারপূর্বক জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।’