কোটা সংস্কারে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে মিছিল
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে দ্রুত কোটা সংস্কার প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা।
আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে বিক্ষোভ মিছিল-পরবর্তী এক সমাবেশে ওই ঘোষণা দেন ছাত্ররা। এর আগে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স লাইব্রেরির সামনে থেকে আন্দোলনকারীরা প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরি হয়ে টিএসসি ঘুরে আবারও শাহবাগ হয়ে ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে যায়। সেখানে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন ছাড়াই ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ছাত্রসমাজ মানে না বলে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সেখান থেকে আবারও মিছিল বের করে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, মুহসীন হল, ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসিতে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
মিছিল শেষে সমাবেশে পরিষদের নেতারা বলেন, ‘ছয় মাস আগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। কিন্তু এত দিন পরেও সে ঘোষণা বাস্তবায়িত হয়নি। উপরন্তু ছাত্রদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।’ এ সময় সরকার ও ঢাবি প্রশাসনের প্রতি ছাত্রদের বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা।
পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, ‘যৌক্তিক দাবি সত্ত্বেও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর হামলা করা হয়েছে এবং তাঁদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা কোটা বাতিল চাইনি। প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী চাইলে কোটা বাতিল করতে পারেন।’ কোটা সংস্কার করলে পাঁচ দফার আলোকে করতে হবে বলে জানান নুরুল হক।