ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের অধীনে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক সাদেকা হালিম।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় ১৭ মিনিটে খাতায় লেখা একশোটি প্রশ্ন উত্তরসহ একটা কপি সাংবাদিকদের হাতে আসে। অভিযোগ আছে, সকাল ৯ টা ১৭ মিনিটে খাতায় হাতে লেখা উত্তরসহ প্রশ্ন পায় একজন শিক্ষার্থী। পারে প্রশ্নগুলো গণমাধ্যম কর্মীরা সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ সোহেল রানাকে দেখান। এর কপি প্রক্টর অফিসে দেওয়া হয়। খাতায় লেখা সবগুলোই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়।
পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘পরীক্ষা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের যে কথাগুলো উঠতেছে সেটা হতে পারে পরীক্ষার হল থেকে কোন অসাধু চক্রের সদস্য হস্তান্তর করেছে।’
প্রক্টর আরো বলেন, ‘আমরা পুরো বিষয়টি যাচাই বাচাই করে দেখবো। যদি কারো বিরুদ্ধে এরকমের কোন কর্মকান্ডের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ প্রশ্নপত্র যদি ফাঁস হয় তাহলে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান প্রক্টর গোলাম রব্বানী।
অভিযোগের বিষয়ে 'ঘ' ইউনিট পরীক্ষার সমন্বয়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। আমরা যতটুকু জানি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা অভিযোগগুলো প্রক্টরিয়াল টিমকে দিয়েছেন। সেটা তারা যাচাই বাছাই করে দেখবেন। শিক্ষকদের সহযোগিতায় সর্বোচ্চ নজরদারিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়।’
এর আগে, সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মোট ৮১টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে ১৬ হাজার ১৫টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ৯৫ হাজার ৩৪১জন। অর্থাৎ প্রতি আসনে লড়ছেন ৫৯ জন শিক্ষার্থী।
পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করা হয়। এর আগেও গত বছর ওই ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল।