ইবি ছাত্র চাইলেন রিকশা, মিলল ঝুলন্ত লাশ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নাজমুল হাসানের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের ২২৯ নম্বরে কক্ষে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁকে দেখা যায়।
নাজমুলের সহপাঠী ও ক্যাম্পাস সূত্রে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নাজমুল হাসান তাঁর বন্ধু নাদিম, সাগর ও আব্দুল্লাহ ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হন। ঘোরা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হলের নিজ কক্ষে (২২৯ নম্বর) ফেরেন নাজমুল। পরে তিনি তাঁর বন্ধুদের নিজ কক্ষে ডাকেন। বন্ধুরা কক্ষের সামনে গেলে দরজা বন্ধ পান। ডাকাডাকির একপর্যায়ে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ফেলেন তাঁরা। পরে কক্ষের ভেতরে রশিতে ঝোলানো অবস্থায় নাজমুলকে দেখতে পান তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বদিউজ্জামান নাজমুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসা কেন্দ্রে কর্তব্যবরত চিকিৎসক বদিউজ্জামান বলেন, ‘চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছেন নাজমুল।’
নাজমুল রক্তচাপ, হাপানি ও চোখের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। মানসিক হতাশার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে আজ বিকেল ৫টার দিকে নাজমুল তাঁর ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এতে লেখা ছিল, ‘একটা রিক্সা চাই, শৈশব ও কৈশোর ফিরে যাবার জন্য।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাজমুল হাসান সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বারাত গ্রামের আব্দুল মালেক গাজী ওরফে ভোলার ছেলে। তাঁর মায়ের নাম রোকেয়া বেগম। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তিনি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কক্ষ ও লাশ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। লাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে রাখা আছে। পরিবারের কাছে সংবাদ পাঠানো হয়েছে। পরিবার এলে কী করা যায় সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।